সর্বশেষ ঘোষণা
মাসিক পরীক্ষা ৬ জুন ২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার। ইফতেতাহী সবক আগামী ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং রোজ রবিবার সকাল ৯ টায় , ইনশাআল্লাহ! ঈদুল ফিতরের ছুটি ৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং পযর্ন্ত। ৭ এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজী, রোজ বুধবার , বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্! পবিত্র মাহে রমাযান উপলক্ষে মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং এর জন্য আপনার দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ইংরেজী, রোজ বুধবার , দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্! সীমিত আসনে ভর্তি চলছে ( নূরানী, নাজেরা , হিফজ ও কিতাব বিভাগে) বার্ষিক পরীক্ষার ঘোষণা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং, রোজ বুধবার প্রথম পর্ব জেনারেল সাবজেক্ট/ ২৭ মার্চ ২০২৪ ইং, রোজ বুধবার ২য় পর্ব এরাবিক সাবজেক্ট। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ইংরেজী, রোজ বুধবার , দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্! উদ্বোধনী সবক ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং, রোজ বুধবার সকাল ৯ টায় শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ! ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ইং রোজ রবিবার থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়ে ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং রোজ বুধবার পরীক্ষা শেষ হবে। ইনশা আল্লাহ! দ্বিতীয় বার্ষিক মাহফিল ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ইং, রোজ শুক্রবার বাদ আসর থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ১২ অক্টোবর ২০২৩ ইংরেজি, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী, ২৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ আগষ্ট ২০২৩ ইং, ১০ সফর ১৪৪৫ হিজরী, ১২ ভাদ্র ১৪৩০ বাংলা, রোজ রবিবার। ইনশাআল্লাহ! মাসিক পরীক্ষা ২০ জুন ২০২৩ ইং শুরু হবে। ইনশা আল্লাহ!

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

পৃথিবীর উষালগ্ন থেকেই সত্য-মিথ্যা, হক ও বাতিলের সংঘাত চলে আসছে। এতদসত্ত্বেও মহামহিম আল্লাহ তা'আলার মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলামের বিজয়ের ঝান্ডা নিয়ে জাগতিক চাহিদা, লোভ-লালসা এবং ক্ষণস্থায়ী জগতের সাজসজ্জা সৌন্দর্যের অবাস্তর মোহকে উপেক্ষা করে নির্ভেজাল চিরন্তন ও মহা সত্য ইলমকে সাথী বানিয়ে আল্লাহর মনোনীত একদল মহামনীষী জানমাল সর্বস্ব বিলীন করে ইসলাম ও ইসলামী ঐতিহ্যের ধারাবহিকতা সংরক্ষণের জন্য পৃথিবীর বুকে গড়ে তুলেছেন কিছু খাটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তত্ত্ববাধানে মক্কা শরীফে দারে আকরাম ও মদিনা শরীফের মসজিদে নববীর সুফফা থেকে ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সুচনা। এরই নমুনাই যুগে যুগে বিশ্বের বিভিন্ন নিক দিগন্তে বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশেও প্রতিষ্ঠিত হয় হাজার হাজার দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা মসজিদ, মাদ্রাসা ও দ্বীনি মারকায। যা এদেশের সর্বস্তরের মানুষকে শিখিয়েছেন কুরআন হাদিসের জ্ঞান এবং মানবতা ও সভ্যতা। খ্রীষ্টীয় অষ্টাদশ শতকে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ বেনিয়াগোষ্ঠী উপমহাদেশের নববী শিক্ষার সেই দ্বীপ্ত আলোকরশ্নীকে চিরতরে নিভিয়ে দিতে উদ্যত হয়। এহেন ক্লান্তিলগ্নে ইলমে নববীর ধারা ও সুন্নতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম কে পুনরায় উজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে কাসেম নানুতুবী রহ. ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দের ৩০ মে দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান বিশ্বের সকল কওমী মাদ্রাসা সেই দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারা, সিলেবাস ও কারিকুলাম অনুসারেই প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসা সে চিন্তা চেতনা লালন করে ৩ এপ্রিল ২০২২ ইং, ১ রমজান ১৪৪৩ হিজরী, ১৪২৮ বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশুদ্ধ আক্বীদা বিশ্বাসের বাস্তবায়ন।
২। সাহাবয়ে কেরাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আকাবীরে দ্বীন ও সালাফে সালেহীনদের গবেষনালব্ধ জ্ঞানের আলোকে কুরআন সুন্নাহর চর্চার মাধ্যমে ইলমে দ্বীনের হেফাজত করা।
৩। যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যমে কুরআন সুন্নাহ- প্রকৃত শিক্ষাদান।
৪। সকল ভ্রান্তমতবাদ, সমাজে প্রচলিত সর্বপ্রকার শিরক বিদআত ও কুসংস্করের মূলোৎপাটন কন এবং সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের বিশুদ্ধ আকিদা বিশ্বাস, ধর্মীয় তাহজিব তামাদ্দুন বা ব কালচার ও সুন্নতে নববীর প্রচার-প্রসার ও বাস্তবায়ন করা।
৫। সর্বোপরি আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদায় বিশ্বাসী হওয়ার পাশাপাশি জাতির খাদেম, পথ প্রদর্শক দেশপ্রেমিক ও কল্যানকামি হিসাবে গড়ে তোলা। যারা হবে সৎ ও আদর্শবান, এবং আল্লাহওয়ালা,খোদাভিরু মুত্তাকী ও দ্বীন ধর্মের অতন্দ্র প্রহরী, যারা হবে আকাবীর ও আসলাফের যোগ্য উত্তরস্বরী এবং সুন্নাতে নববীর একান্ত অনুসারী। ও ইলম ও আমলে সমান পারদর্শী।

জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষা বিভাগ সমুহঃ
পুরুষ শাখা :
• নূরানী বিভাগ।
• নাজেরা বিভাগ।
• হিফজুল কুরআন বিভাগ।
• বয়স্ক সহীহ কুরআন বিভাগ।
মহিলা শাখা :
• নূরানী বিভাগ।
• নাজেরা বিভাগ।
• বয়স্ক সহীহ কুরআন বিভাগ।

* ইসলাহী মাহফিল ও জিকিরের মজলিস :
ছাত্র-উস্তাদ ও সর্বসাধারনের ইসলাহ ও আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি মাসের সপ্তাহের বুধবার মাগরিবের নামাযের পর ইসলাহী মাহফিল ও জিকিরের মজলিসের ব্যবস্থা করা হয়।
* বাৎসরিক মাহফিল :
স্বাধারণ মানুষের ঈমানি শক্তি বিদ্ধির জন্য প্রতি বছর একটি বাৎসরিক মাহফিল হয়।

প্রধান শিক্ষক

image-not-found

সম্মানিত অভিভাবক ও স্নেহভাজন শিক্ষার্থীবৃন্দ,

আসসালামু আলাইকুম।

জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখরিত, শ্রীনগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদানকে প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্যদ-এর চতুর্মুখী প্রচেষ্টার উপর। আমাদের এ প্রচেষ্টা নিরন্তন ও সার্বক্ষণিক।



অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এ দীনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালের ৩ এপ্রিলে মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে আল-হামদু লিল্লাহ।






জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসা দেশে দীনি শিক্ষাবিস্তারের বিশেষ অবদান রাখতে অঙ্গিকারাবদ্ধ। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এ কথাটি এ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরিচালনা পর্ষদ অন্তরে ধারণা করে। আমরা দীনি শিক্ষা বিস্তার অবিস্মরণীয় অবদান রাখতে চাই। আমরা সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশী।

দোয়া প্রার্থী :
( মুফতী ) খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হুসাইনী
প্রিন্সিপাল : জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসা
ইমাম ও খতীব : শ্রীনগর দক্ষিণপাড়া মাঝিবাড়ী জামে মসজিদ

ফকীহুন নফস আল্লামা মুফতী দিলাওয়ার হোসাইনের উপদেশ

image-not-found

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মুফতি দেলোয়ার হোসাইনের নসিহত



বড় আলেম হওয়া, ভালো চাকরী পাওয়া কিংবা মোটা অংকের বেতন পাওয়ার চিন্তা নিয়ে ইলম অর্জন করা যায় না। এসব চিন্তা ইলম অর্জনের পরিপন্থী। শিক্ষার্থীদের অন্তরে শুধুমাত্র একটি নিয়ত বদ্ধমূল থাকবে – ‘আমার আল্লাহর আদেশে আমি ইলম অর্জন করছি ।’

আমার উস্তাদ মুফতি তাকি উসমানী বলতেন, “দুনিয়া হল ছায়ার মত। ছায়ার পেছনে ছুটলে তা ধরা সম্ভব নয়। দৌড় দেয়ার গতি যত হবে, ছায়ার গতি তত হবে। বিপরীতে দৌড় দেয়ার দিক পরিবর্তন করে ছায়ার বিপরীতে যদি দৌড় দেয়া হয়, তাহলে ছায়াই ব্যক্তির পেছনে দৌড়ানো শুরু করেব।” এটাই দুনিয়ার উদাহারণ বলে তিনি যোগ করেন।

শিক্ষার্থীদের নিয়তে পরিশুদ্ধতা ও ইখলাস অর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দুনিয়া বিমুখ হতে হবে। দুনিয়া বিমুখতা অন্তরে ইখলাস ও নিয়তে পরিশুদ্ধতা সৃষ্টি করে। যা তালিবুল ইলমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আশা করছি, আল্লাহ আমাদের অন্তরকে উত্তম ইলম অর্জনের পাত্র হিসেবে কবুল করবেন।